পরেশ দেবনাথ, কেশবপুর, যশোর প্রতিনিধি, দৈনিক সারা দুনিয়া।
কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি এবং বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শত বছরের ব্যবহৃত রাস্তা দিপু দাস কর্তৃক জোরপূর্বক এলাকার প্রায় ২শ’ পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখায় বিপাকে পড়েছে তারা।
সোমবার (৩১ জুলাই) খতিয়াখালী-বালিয়াডাঙ্গা এলাকার ঋষি সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষ উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় নির্বিঘ্নে চলাচলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার খতিয়াখালী গ্রামের দিপু দাস (৫৮) শত বছরের চলাচলের ইটের রাস্তাটির পাশে জমি কিনে এলাকার মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ওই গ্রামের শ্রমিক সোহাগ দাস, ভ্যানচালক অনিল দাস, পরিতোষ দাস, বিকাশ দাস, স্বদেশ দাস, বাবু দাস, নারায়ন দাস প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মানববন্ধন শেষে ঘটনা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁজিয়া সড়কের খতিয়াখালী ঋষি পাড়ার শত বছরের চলাচলযোগ্য ইটের সোলিং দেওয়া ২৫০ মিটার গ্রাম্য রাস্তা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঋষিপাড়ার সাথে মিশেছে। এ রাস্তা দিয়ে ঋষি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা তাদের বাড়িতে তৈরিকৃত ঝুড়ি, ডালা, চাঙ্গারী, কুলাসহ বিভিন্ন প্রকার শিল্পজাত দ্রব্য ভ্যানে বোঝাই করে বিক্রি করেন এবং জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে বিভিন্ন পেশার মানুষসহ এলাকার প্রায় ২০০ পরিবার। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে রাস্তাটি ইটের সোলিং করে দেন। গ্রামের দিপু দাস এবং তার পরিবারের লোকজন রাস্তাটির পাশে জমি কিনে এলাকার মানুষের শতবছরের চলাচলের রাস্তাটিতে বিভিন্নভাবে বাঁধার সৃষ্টি করে চলেছেন। এতে এলাকার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দিপু দাস বলেন, চলাচলে কাউকে বাঁধাগ্রস্ত করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছি সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।